ফেইসবুক মার্কেটিং…………………
বর্তমান সময়ে মানুষজন সব থেকে বেশি সময় ব্যয় করে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে । এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো ফেইসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, টেলিগ্রাম ইত্যাদি। আমাদের বাংলাদেশে ফেইসবুকে মানুষ জন বেশি সময় কাটায় তাই আমাদের যে কোনো বিজ্ঞাপন দিলে আমাদের ফেইসবুকে দেওয়া উচিত । সেই জন্য আমরা জানবো ফেইসবুক মার্কেটিং (বিজ্ঞাপন) আমরা কিভাবে করবো ।
ফেসবুক মার্কেটিং আমরা দুইভাবে করতে করতে পারি।
আমরা আনপেইড মার্কেটিং নিয়ে আজ আলোচনা করবো।
ফেইসবুক মার্কেটিং এ আমরা যে ভুলটা করি সেটা হলো নিজের প্রোফাইল দিয়ে পেইজকে প্রোমট করি এটা না করে সরসরি আপনার যে ফেইসবুক পেইজটা রয়েছে “বিজনেস পেইজ” এটা দিয়ে মার্কেটিং করবেন । যেহেতু আপনি টাকা ছাড়া মার্কেটিং করতে চান সে জন্য তো আপনাকে টাকারে বিনিময়ে কিছু না কিছু তো দিতে হবে তাই না? সেটা হলো আপনার সময় ও পরিশ্রম ।
কোথায় ও কিভাবে দিবেন আপনার সময় ও পরিশ্রম?
মনে করেন আপনি একটা কাপড়ের ব্যবসায় করেন । তাহলে আপনাকে আগে দেখতে হবে কারা কারা কাপড়ের ব্যবসায় করে? কিভাবে করে? কোন কাপড়ের চাহিদা কেমন? যত পারেন তথ্য সংগ্রহ করুন । তারপর কাপড়ের যে গ্রুপ গুলো আছে ওই গ্রুপ গুলোতে এড হবেন । সেখানে আপনি অনেকের সাথে পরিচিত হবেন এবং পোষ্ট দিবেন ।
যদি আপনি নিজের প্রোফাইল দিয়েই করতে চান তাও করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনাকে পেইজকেও সবার সামনে প্রেজেন্ট করতে হবে ।
ফেসবুক প্রোফাইলঃ আনপেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। কারন আপনার প্রোফাইলের মাধ্যমেই আপনি পরিচিত হবেন। তাই আপনার প্রোফাইলটা হতে হবে মজবুত। অনেকেই আছে যে যেই সেই একটা প্রোফাইল দিয়ে কাজ করতে চাই। এটা মোটেও উচিত নয়। আপনার কাস্টমাররা আপনার পন্যের সাথে আপনার প্রোফাইলটাও দেখবে। তাই এটি খুব গুরুত্ব বহন করে।
কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরীঃ কোন কাস্টমার আপনার জিনিস কিনার পর তার তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষন করুন। তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।বিভিন্ন অকেশনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। এতে কাস্টমারের সাথে বন্ডিং ভালো হবে। এবং আস্থা অর্জন করতে পারবেন সহজেই। পন্য পাঠানোর আগে ও পরে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। পন্য হাতে পাওয়ার পর তার মতামত নিন। ছোট খাটো গিফট দিতে পারেন। এতে কাস্টমারের মন জয় করতে পারবেন।
পেজে নিয়মিত পোস্ট করাঃ আপনার পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন কিন্তু যে সময় দেখবেন বেশি মেম্বার এক্টিভ থাকে তখন করার চেস্টা করবেন । প্রতিদিন মিনিমাম ২/৩টা করে দিবেন । এতে পেইজের রিচ বাড়বে । সাথে লাইকও বাড়বে। একদিন ৫টা পোষ্ট দিলেন তার পরের দিন দেননি এটা করবেন না। সব সময় খালি সেল পোস্ট করবেন না। পেজে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করুন। আপনার পন্যের সুবিধাগুলো কাস্টমারদের বুঝানোর চেষ্টা করুন। কারন যতক্ষন না তাদের পন্যের প্রতি চাহিদা আসবে তারা পন্য কিনবেনা। তাই তাদের বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করুন।
পেজকে ব্রান্ড ভাবুনঃ আপনার পেজ আপনার কাছে একটি ব্রান্ড। তাকে সুন্দর করে সাজান। উপস্থাপন করুন। যত ভালো উপস্থাপন করতে পারবেন ততই আপনার পেজের ডিমান্ড বাড়বে। মনে রাখবেন আপনার নিজের কাছে যদি নিজের পন্য ব্রান্ড না মনে হয় তাহলে অন্যরা কেন মনে করবে?
ফেসবুক লাইভঃ অনেকেই ফেসবুক লাইভ করেন। এতেও কাস্টমাররা আকৃষ্ট হয়। অনেকে লাইভের কারনেই পন্য কিনে। তাই লাইভও করতে পারেন।
লাইভ করলে আপনার পেইজ অটো বুস্ট হয়, সবার কাছে মেসেজ যায় তার ফলে আপনার রিচ বাড়ে ।