মুসলমান ছদ্মবেশে ধরা খেলো খ্রিস্টান।

সবার প্রতি অনুরোধ মনোযোগ দিয়ে বিষয়টা খেয়াল করুন….

ছবিতে যাকে দেখছেন সে একজন খৃষ্টান এর দালাল, দেখলে মনে হয় পাক্কা ঈমানদার!! বছরখানেক আগে পাবলিকের হাতে ধরে পড়ে নিজেই জবানবন্দি দেয় সে নিজে!

ইদানিং মিডিয়া‌তে দেখা যায় মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা ছাত্র বলাৎকার…ছাত্রী ধর্ষণ!
আবার মসজীদ এর ঈমাম ধর্ষন করেছে….!
আর প্রশাসন যখন তাদেরকে ধরে তখন তারা সাজানো নাটকের মত‌ সুন্দর করে সব স্বীকার করে!!

স্কুল, কলেজ সহ জন সাধারণের হাজারো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই নাস্তিকরা মসজিদ, মাদ্রাসা‌কে কলুষিত করতে এইরকম অপপ্রচার করে সাধারণ মানুষ‌কে ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে!!পাশাপাশি সাধারণ মানুষ‌কে হক্কানী উলামায়ে কেরাম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে অপপ্রচার করছে।

আসলে মসজিদ, মাদ্রাসা‌য় যেগুলো ধরে মিডিয়া‌তে প্রচার করা হচ্ছে তারা কোনো আলেম বা মুসলিম নয়।কোনো হক্কানী আলেম কখনও অনৈতিক কাজ করতে পারে না।
খোঁজ নিয়ে দেখেন এগুলো খ্রিস্টান ইহুদি , মিশনারি‌দে‌র টাকা‌য় কেনা গোলাম অথবা সরাসরি ইহুদী ,খ্রিষ্টানদের সন্তান!!

কিন্তু বামপন্থী, নাস্তিক‌রা মিডিয়া‌তে এইসব প্রচার করে মাদ্রাসা‌য় জঙ্গি, সমকামী, ধর্ষক প্রমাণ করার ব‍্যর্থ চেষ্টা করছে!! তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছে নামধারী কিছু মুসলিম(মাজারপূজারী, আহলে হাদীস,ভন্ড বেদাতী পীর,ফকির,কাদেয়ানী, হেযবুত তাওহীদ, সাদেয়ানী,শিয়া সহ অসংখ্য নামধারী ইসলামী সংগঠন!!) 

সাধারণ মানুষ‌ও আজ বিভ্রান্ত ইহুদি, খ্রিষ্টানদের চক্রান্তে!!
একটি ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই, সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ূবীর জামানায়, ইয়াহুদি খৃষ্টান রা যখন মোসলমানদের সাথে পেরে উঠতেছিলোনা, তারা একটি কোশল অবলম্বন করেছিলো, তারা তাদের থেকে কিছু লোক কে, কোরআন হাদিস শিখিয়ে, পান্ঝাবি টুপি পড়িয়ে, হবুহু মুসলিমদের মত করে তুল্ল, তারা এমন ভাবে দ্বিন শিখলো কেউই তাদের ধরতে পারলোনা,এবং সুলতানের এলাকার, মহল্লায় মহল্লায় মসজিদের খতিব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো, তখন তারা মহল্লায় মহল্লায় ফেতনা স্রিষ্টি করতে থাকে, সুলতান ছিলেন খুবই বিছক্ষন, তিনি খুব চতুরতার সাথে তা ধরে ফেলেন, এবং সে ফেতনা সমুলে নির্মূল করেন।
কিন্তু হায় এ যুগে তো সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ূবী নেই, কিভাবে আমরা ভেদ করবেন সে ষড়যন্ত্র…?

তাই আমি কিছু পরামর্শ দিতে চাই, শুধু কোরআন হাদিস জানলেই, ভালো তেলওয়াত করতে পারলেই, তার কন্ঠ মিষ্টি হলেই, বা বেতন কিছু কম নিলেই, যাকে তাকে মসজিদের ঈমাম, মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিবেন্না, খোজ নিন সে কোন মাদরাসায় পড়ালেখা করেছে, যে মাদরাসার ঠিকানা দিবে সেখানে যাচাই করুন, সে কি ঐ মাদরাসায় ছোট থেকে পড়াশুনা করেছে, নাকি হঠাৎ এসে এক বছর পড়ে, মাদরাসাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যাবহার করছে।আবার তাল পরিবার সম্পর্কে জেনে নিন।মসজিদ, মাদ্রাসা‌য় নিয়োগের পর সবসময় নজর রাখুন কোনো এনজিও এর সাথে গোপনে সম্পৃক্ত হচ্ছে কিনা??

আমাদের অবহেলার কারনে আজ ইসলাম কুলসিত হচ্ছে, বিধর্মিরা আমাদের আজ কটাক্ষা করছে, তাই আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।
যাতে আর কেউ আমাদের চোখে ধুলোদিয়ে, আর কোন অগঠন না গঠাতে পারে।

আফসোস আফসোস তারা সবাই এক হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে, আর আমরা আছি ঘুমিয়ে।
সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।
হে আল্লাহ এদেশের মুসলমান‌দে‌র সমস্ত কাফের,ইহুদি ,খ্রিষ্টানদের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন।আমিন।

 

 

 

 

About regulartechbd

Check Also

জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সমূহ।

  জিলহজ মাস মানে হজের মাস। হজের তিনটি মাস শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ। এর মধ্যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *