হ্যাকিং নিয়ে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা !
১।।হ্যাক করা কোনো বেআইনি কাজ নয়।যারা সিস্টেম সিকিউরিটি ডেভলপ করার জন্য বা অন্য হ্যাকার থেকে সিস্টেম কে বাঁচান তাদের ইথিকাল হ্যাকার বলে। কিন্তু কারো অজান্তে বা ক্ষতি করার জন্য যদি হ্যাক করে তাকে নন ইথিকাল হ্যাকার বলে।
২।কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে হ্যাকার শব্দটি ব্যবহার করা হয় এমন একজনের জন্য যে কম্পিউটার এর বিষয়ে খুব দক্ষ এবং সিস্টেম বা মেশিনের দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে তাকে এক্সেস বা সিস্টেম সিকিউরিটিকে ডেভলপ করতে পারে।
৩।হ্যাকিং শব্দটা শুনলেই অনেক মনে করেন খারাপ কিছু। মনে হয় এসব ক্রিমিনালরাই করে। কিন্তু এটা ভুল। হ্যাকিং একটি কম্পিউটারের বিষয় এটিকে নিয়ে যেমন পড়া যায় তেমনি এর ওপর গবেষণাও করা যায়।বড় বড় কোম্পানিতে প্রচুর হ্যাকার থাকে।যারা কোম্পানির সিস্টেম সচল রাখতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য হ্যাকার থেকে রক্ষা করে।
৪।হ্যাকার মানেই খারাপ কিছু না।হ্যাকারদের মূলত ২ ভাগে ভাগ করা হয়।একটি ব্ল্যাক হ্যাট যারা ক্রিমিন্যাল হ্যাকার নাম পরিচিত।এরা সব ধরণের ক্ষতিকর এবং বেয়ানি কাজ করে থাকে।আর একটি হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার। এরা এথিক্যাল হ্যাকার নামে পরিচিত।বিভিন্ন কোম্পানি এদের নিজেদের সিস্টেমের সিকিউরিটির দায়িত্বে রাখে।যাতে অন্য কেও তাদের সিস্টেম এর কোনো রকম ক্ষতি না করতে পারে।
৫।বিশ্বে কোনো সফটওয়্যার নেই যা কোনো সোশ্যাল একাউন্ট ডাইরেক্ট হ্যাক করতে পারে।ইন্টারনেটে আপনার এমন অনেক সফটওয়্যার যা দাবি করে যে ইউসারের কিছু ইনফো দিলেই তার একাউন্ট আপনি এক্সেস করতে পারবেন।এটা একদমই ভুল।এইসব সফটওয়্যারে ম্যালওয়্যার থাকে।আপনি এইসব সফটওয়্যার যখন ইনস্টল করবেন তখন সেই সেইসব ম্যালওয়্যার আপনার পিসিতে আপনার অজান্তেই ঢুকে যাবে।মানে আপনি অন্যের আকাউন্ট হ্যাক করতে গিয়ে আপনার আকাউন্টই হ্যাক হয়ে যেতে পারে।তাই এইসবের থেকে দূরে থাকুন।
৬।হলিউড মুভি হ্যাকার। হলিউডের হ্যাকিং মুভি যারা দেখেছেন তারা অনেকেই ভাবেন হ্যাকিং সত্যি ওভাবেই হয়। ইটা একদম ভুল। হ্যাকিং একটি সময় সাপেক্ষ এবং স্কিল নির্ভর কাজ। তাই মুভি দেখানো প্রসেস অনেক ক্ষেত্রেই ভুল এবং আদৌ যা বাস্তবের সাথে কোনো মিল থাকে না। সেসব করা হয় 3D গ্রাফিক্স এবং ভিসুয়াল এফেক্টের মাধ্যমে। এতো তাড়াতাড়ি এবং সহজে তা করা যায় না।
৭।অনেকে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল একাউন্ট এক্সেস করতে পারছেন না বা কোনো কারণে একাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ভাবেন তাদের একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে।তারা পোস্টও করেন যে তাদের আকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে।কিন্তু আদৌ কি তা হয়?বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অচেনা লোকদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট বা কিছু অশালীন পোস্ট করে তাদের একাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয় কিছুদিনের জন্য।অনেকদিন আকাউন্ট না খুললেও একাউন্ট এক্সেস করতে অসুবিধে হতে পারে।তাই বলে একাউন্ট হ্যাক হয়েছে এটা ভাবার কিছু নেই।
৮।কম্পিউটার হ্যাক শেখার জন্য আপনাকে আগে কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।মানে কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে,নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে ধারনা,প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট সম্পর্কে ধারনা থাকা খুব দরকার।তাই শুধু ভিডিও লার্নিং কোর্স বা বই পরে হ্যাকার হওয়ার কথা ভুলে যান।
৯।হ্যাকিং একটি স্কিল নির্ভর বিষয়।তাই কম্পিউটারের সম্পর্কে ভালো নলেজ না থাকলে আপনি কখনো এটিকে এক্সপ্লোর করতে পারবেন না। যদিও অনেক বই বা ভিডিও লেসনে এটা দাবি করা হয় তাদের এইসব লেসন নিলে আপনিও হ্যাকার হতে পারেন।যা অনেকটাই ভুল।সেইসব টেকনিক কি করে কাজ করে তা বোঝার জন্য আপনাকে জানতে হবে বিষয়টা কি এবং তাতে কি আছে।
১০।হ্যাকিং শব্দটি “আনঅথোরাইজড এক্সেস ‘-এর সাথে জড়িত থাকলেও এর আসল অর্থ আদৌ খারাপ নয়। হ্যাক শুধু কম্পিউটার সম্পর্কিত হলেও আমরা বিশ্বের যেকোনো বিষয়ের ওপর শব্দটি ব্যবহার করতে পারি।যেমন ফুড হ্যাক,ড্রেস হ্যাক,লাইফস্টাইল হ্যাক।হ্যাক করা মানে কোনো বিষয়ের দুর্বল অংশ বের করা বা সেই বিষয় কে আরো ভালো ভাবে বোঝার জন্য তাকে উন্নত করা কিংবা কোনো কাজ সহজ করে করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়।
১১। “হ্যাকিং কখনও মোবাইল দিয়ে শিখতে পারবেন নাহ কাজ করার জন্য অব্বসই আপনার একটা কম্পিউটার প্রয়োজন মনে রাখবেন”
Post Credit: hacker BD
really good