হিংসা প্রসঙ্গে

                           হিংসা প্রসঙ্গে 

কাহারো সুখ শান্তি আর আমায় দেখিয়া অন্তরে উহার প্রতি  কষ্ট ও জ্বালাপোড়া অনুভব করা এবং তাহার আরাম-আয়েশ, সুখ-শান্তির ওই নিয়ামতের বিনাশ কামনা করা কে হিংসা বলে। হিংসা করা  সম্পূর্ণ হারাম। কোন মুসলমান ভাইকে তুচ্ছজ্ঞান না করা কর্তব্য। কোন ব্যক্তি খারাপ হওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে।

 রাসূল (সা:) বলেছেন-

*পূর্ণাঙ্গ মুসলিম ঐ ব্যক্তি যাহার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপত্ত থাকে।

মানুষকে তুচ্ছ করার মাধ্যমে হিংসা উৎপত্তি হয়। হিংসুক কারো  উন্নতি দেখে সহ্য করতে পারে না। হিংসা পরায়ন লোক আল্লাহর দেয়া নেয়ামত এর শত্রু। আল্লাহর বিধানের প্রতি অসন্তুষ্ট এবং আল্লাহর বন্দা গণের মধ্যে থেকে যে নেয়ামত বন্টন করে দিয়েছেন সে তা পছন্দ করেন না। হিংসার নিশ্চিত বৈশিষ্ট্য হলো গীবত অপবাদ ও শেকয়াতসহ বিভিন্ন অনৈতিক উপসর্গ তৈরি হওয়া। যে কোন লোকের নিকট কোন লোক অন্য , কোন লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তা পূর্ণাঙ্গ যাচাই না করে ফয়সালা বা কোন হস্তক্ষেপ না করা চাই। কেননা হিংসুক লোকেরা যার প্রতি হিংসা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এক বিজ্ঞ  ব্যক্তি বলেন সবচেয়ে পেরেশানিতে থাকে হিংসুক ব্যক্তি।


About regulartechbd

Check Also

জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সমূহ।

  জিলহজ মাস মানে হজের মাস। হজের তিনটি মাস শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ। এর মধ্যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *