শুরুতে ধোয়াশা থাকলেও এখন পরিষ্কার করোনা প্রতিরোধে সব থেকে কার্যকরী মাধ্যম মাস্ক। কিন্তু কোন মাস্ক পরবেন?
একেক মাস্কের কর্যক্ষমতা আলাদা, জায়গা ভেদে সুরক্ষা দেয়ও আলাদা। এই যেমন হাসপাতালে যে ধরনের মাস্ক প্রয়োজন তা খোলা জায়গায় না।
N99 মাস্কঃ সব থেকে বেশি সুরক্ষা সম্পন্ন এই মাস্ক । ভাইরাস রোধে ৯৯% সুরক্ষা দেয় এটি । ধুলিকনায় অর্ধ্যেক হলেও সুরক্ষা দেয় । ব্যকটেরিয়া রোধে শত ভাগ (১০০%) কার্যকর।
N95 মাস্কঃ আমাদের পরিচিত আরেক মাস্কের মধ্যে একটি । WHO এর নির্দেশ আগ্যা অনুযায়ী খাল বিহিন এই N95 মাস্ক পরতে বলা হয় স্বাস্থ্য কর্মীদের অর্থাৎ যারা সরাসরি কাজ করে রোগীদের সাথে । ০.৫ মাইক্রনের ক্ষুদ্র থেকেও ক্ষুদ্র কনাকেও আটকাতে পারে এই মাস্ক । ব্যকটেরিয়া আর ধূলিকনা আটকাতে পারে শত ভাগ (১০০%) ।
যেসব জায়গায় পরতে পারবেঃ ট্র্যাভেল, হাসপাতাল, জনসভাগমে সবচেয়ে ভালো হয় এই মাস্কটি পরলে ।
সার্জিকাল মাস্কঃ এই সময়ে সব থেকে পরিচিত একটি মাস্ক। ৩ স্তরের এই মাস্কটি ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা N95 এর তুলনায় একটু কম। তারপরও ভাইরাস আটকাতে পারে ৯৫ সফল সার্জিকাল মাস্ক, ব্যকটেরিয়া আর ধূলিকনা আটকাতে পারে ৮০ ভাগ।
কাপরের মাস্কঃ বর্তমান সময়ে সব থেকে পরিচিত তবে হতাশার কথা হলো, ধুলাকনা আটকাতে পারলেও ভাইরাসের মত ক্ষুদ্র কনা আটকাতে খুব ভেশি সফল না।
তবে সব রকমের মাস্ক কিছুনা কিছু সুরক্ষা দেয়, বাধা দেয় জীবাণু বাহিরে থেকে ভিতরে আসতে। তবে মাস্ক কতটা কাজ করবে তা নির্ভর করে তা মুখের সাথে কতটা ফিট করে তার উপর। মুখ আর মাস্কের মাজখানে কোনো ফাকা জায়গা থাকা যাবে না। গবেষণায় দেখা গেছে ২টি মাস্ক বেশি সুরক্ষা দেয়।
তাই মাস্ক পরুন সুরক্ষা থাকুন।