মঙ্গলে হেলিকপ্টার পাঠাবে নাসা
এই প্রথম মঙ্গলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে নাসা।
প্রথমবারের মত মঙ্গলের মাটিতে উড়বে মানব তৈরি ছোট একটি হেলিকপ্টার,
যার নাম দেওয়া হয়েছে Ingenuty. ভারতীয় বংশভুত Vaneeza Rupani এর নাম করণ করেছেন। এর উচ্চতা ৪ ফিট এবং ভর ৪ পাউন্ড। Nasa Jet Propaulsion Laboratory একে তৈরি করেছে। নাসার অন্যতম Mars rover Perseverance mission এর সাথে পাঠিয়ে দেয়া হবে এটিকে। এর সাথে ২৩টি কেমেরা যুক্ত হয়েছে।
এই পর্যন্ত চারটি রোবট সফলভাবে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করেছে। এগুলি হলো Sojourner, Spirit, Opportunit এবং Curiosity. এগুলির সাহায্যে আমরা মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে অনেক তথ্য যানতে পেরেছি।
কিন্তু এগুলি একটি সমস্যা ছিলো এগুলিকে ১ কিমি দূরুত অতিক্রম করতে কয়েকমাস সময় লেগে যায়। মঙ্গলের যেসব স্থানে প্রাণের সম্ভবনা বেশি(বিশেষ করে মঙ্গলের ক্রেটারস এবং পাহাড় গুলোতে এগুলি উঠতে সক্ষম ছিলো না।
এসব কথা বিবেচনা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে।
তবে মুলত নাসা দেখতে চায় মঙ্গলে artificial হেলিকপ্টার চলে কিনা।
একে উতক্ষেপন করা হবে ৩০ জুলাই,২০২০ এবং মঙ্গলে এটি পৌছাবে ফেব্রুয়ারী ২০২১. মঙ্গলের মাটিতে অবতরনের পর এটি ধীরে ধীরে Perseverance Rover থেকে বিছিন্ন হতে থাকবে এবং মঙ্গলের ভুমি থেকে ১০ ফিট উঁচু উঠে মঙ্গলকে সর্বোমোট ৫ বার প্রদক্ষিন করবে। এটির সাথে দুটি ছোট সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে যাতে এটি সূর্যের আলো থেকে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। একে প্রথম ৩০ দিন টেস্ট মিশনে থাকবে। এই ৩০ দিন পর এটির সাথে কি হবে তা কেউই যানে না।
কারন নাসার opportunity mission কে মাত্র ৯০ দিনের টেস্ট মিশনের জন্য তৈরি করা হলেও সেটি দীর্ঘ ১৫ বছর আমদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। এর সাথে নাসা প্রেরন করা হবে perseverance mission টিও হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি মঙ্গলে ancient life, habitable air, possible life এবং Future mars landing এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এই মিশনটি Mars 2020 নামেই বেশি পরিচিতি।
মিশনটি লঞ্চ করা হবে ৩০ জুলাই,২০২০
Cape Canaveral Air Force Station থেকে যা Florida তে অবস্থিত। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫;৫০ মিনিটে।
নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেন্সটান বলেন ” আমরা মানব ইতিহাসে যা ঘটেনি সেটি ঘটাতে যাচ্ছি,যার একেবারে দারপ্রান্তে এসে পৌছেছি