আজকাল টেলিভিশন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। টেলিভিশন এখন সবাই দেখে খুব আকর্ষন নিয়ে দেখে। অনেকে এটাকে গুনাহ মনে করে না। কেউ বলে এটাতো শিক্ষার একটা মাধ্যম। ঠিক ঐ শিক্ষা মাধ্যম তা হল কুশিক্ষা। আবার কেউ আছে বলে যে, এটা তো ভালো দিকও আছে খারাপ দিকও রয়েছে।ভালো দিক হলো খবর ইসলামিক অনুষ্ঠান যেমন কোরআন তেলাওয়াত ইসলামিক ন ওয়াজ মাসালা প্রশ্নের উত্তর জাকির নায়েকের অনুষ্ঠান এগুলো টেলিভিশন এর ভালো দিক। এগুলো দেখলে গুনা হয় না। যারা এগুলো বলে তারা ইসলাম দলের সাইন বোর্ডও লাগিয়ে রাখেন। এ কারণে ইসলাম ও বড় বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। আমজনতা ভুলের দিকে গড়াতে থাকে।
টেলিভিশনে সিনেমা দেখা যে গুনাহ, বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠান দেখাও প্রায় তেমন গুনাহ। কেননা বেগানা নারীকে পুরুষ আর বেগানা পুরুষকে নারী কেউ কাউকে দেখা দিতে পারে না, হারাম। যেহেতু পর্দা করা নামাজ রোজার মতোই একটা ফরজ।এখন টেলিভিশনে কোন মহিলা যদি খবর পাঠ করে কোরআন তেলাওয়াত করে বা ইসলামিক সংগীত পরিবেশন করে তাকে টেলিভিশনে কিভাবে দেখাবে? কোন সুরত নেই ওকে অন্য কোন পুরুষ এভাবে দেখতে পারবে।আর যদি পুরুষকে এরকম খবর পাঠ করে কোরআন তেলোয়াত করে অন্য ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান করে তাহলে বেগানা সকল নারী টেলিভিশনে কিভাবে দেখবে? কোন সুযোগ নেই। তা নাজায়েজ হারাম। যারা এগুলো কে যায় যে বলে তারা মুনাফিক মুখ্য পন্ডিত। টেলিভিশনের ধ্বংসাত্মক অবদান
১/ অবৈধ সিনেমা দেখা, ছবি তৈরি করা, ছবি প্রদর্শনী
২/টেলিভিশন দেখা তো এক গুনাহ কিন্তু যদি আকর্ষণীয় দৃষ্টিতে দেখা হয় তাহলে অগণিত গুনাহ হবে
৩/এটা ক্রয় করতে টাকা ব্যয় হয়, এই ব্যয় করা টাকা হারাম পথে চলে যায়।
৪/যেই ঘরে টেলিভিশন থাকে রহমতের ফেরেশতা ওই ঘরে প্রবেশ করে না।
৫/অভিশাপ এর যোগ্য হওয়া।
৬/কাফেরদের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হাওয়া ইত্যাদি।
এইসব কবিরা গুনা। যার পরিমাণ খুবই ভয়াবহ। টেলিভিশনের দর্শ একসঙ্গে এসব গুলো গুনাহ করে থাকে।কারো যদি একটু বিবেচনা ঈমান ও অনুভূতি থাকে তাহলে সে চিন্তা করে বলুক যে টেলিভিশন দেখার সময় সে কি হারাচ্ছে এবং কি করছে।
টেলিভিশনের যত গুনাহ আছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুনাহ হলো গান বাজনা গুনাহ। গান অন্তরে মুনাফিকি উল্লেখ করে। অনেকে গানকে বিচারের মন্ত্র ও বলেছেন। লজ্জা ঈমানের একটি শাখা। এটা মানুষের চারিত্রিক একটা অলংকার। যখন কেউ লজ্জা ছেড়ে দেয় তখন সে যা ইচ্ছা তা করতে পারে। আর টেলিভিশন দেখার দরুন দিল থেকে লজ্জা দূর চলে যায়।