দুনিয়ার কঠিন বিপদ এবং অসহনীয় অশান্তি ভোগ করে যদি কেউ আল্লাহ পাককে প্রাণের চেয়েও অধিক মোহাব্বত করে তবে তিনি তাকে অতুলনীয় নেয়ামত দান করেন। তাতে কোন সন্দেহ নেই। যে ব্যক্তি মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ দিবে, অন্যায় কাজ হতে ফিরাবার চেষ্টা করবে এবং নিজেও সৎকাজ করবে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ। আর যে ব্যক্তি মানুষকে খারাপ কাজের উৎসাহিত করে ও নিজেও খারাপ কাজ করে এবং মানুষের ক্ষতি করে সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ।
একদিন মুসা (আঃ) আরজ করলেন -হে আল্লাহ যে ব্যক্তি মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ দেয় আর মন্দ কাজ হতে বিরত থাকে তার প্রতিদান কি??
আল্লাহ পাক বলেন আমি তার প্রতিটি কথার বিনিময় এক এক বছরের ইবাদতের নেকি দান করি।
হাদীসে কুদসীতে আছে , আল্লাহ পাক বলেন- হে আদম সন্তান তুমি ঐসব লোকের দলভুক্ত হইও না যারা তওবা করবে বিলম্ব করে। দীর্ঘ জীবনের আশা করে নেক আমল না করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়। ঈমানদার ব্যক্তির অবশ্যই কর্তব্য হচ্ছে অন্যকে সৎকাজে উপদেশ দেওয়া এবং নিজেও সৎ কাজ করা। আর অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা।
হযরত আবু বক্কর (রা:) আর আজ করেন- ইয়া রাসুল আল্লাহ (সা:) কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জিহাদ। ইহা ছাড়া কোন জিহাদ আছে? তিনি বলেন তা হচ্ছে ওই লোকদের জিহাদ যারা সৎ কাজে উপদেশ দেয় অসৎ কাজ থেকে মানুষকে নিষেধ করে। তাদেরকে নিয়ে আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাদের সামনে গৌরব করেন । তাদের জন্য জান্নাত কে সুসজ্জিত করা হয়। সুবহানাল্লাহ ,সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। একজন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো নিজেও অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকবে, আর কেউ যেন নাফরমানের পথে যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। নিজের ইবাদতের কবুলিয়াতের কোন নিশ্চয়তা নেই। অন্যকে দিয়ে যে আমল করানো হয় উহার জন্য কবুলিয়াতের সুসংবাদ রয়েছে। কেউ যদি কাউকে নামাজে দাঁড় করায় এবং নামাজ শিখিয়ে দেয় তবে তার নামাজ হোক বা না হোক ওই ব্যক্তির কবুলের নামাজ এর নেকী পাবে। অন্য ইবাদত আর বেলায় ও একই কথা।
For more Click here
Check Also
নাস্তিক্যবাদ আর মাজারপূজাবাদীদের জ্ঞানপাপীতা দেখে রীতিমতো শিহরিত
নাস্তিক্যবাদ আর মাজারপূজাবাদীদের জ্ঞানপাপীতা দেখে রীতিমতো শিহরিত..! আমাদের আরও সচেতন হতে হবে..! ইসলামকে ধ্বংস করার …