Movie: The Grand Budapest Hotel(2014)
Language: English
GenreBlack Comedy,Drama,History
IMDb: 8.1/10
Rotten Tomatoes:92%
Metacritic: 88%
Personal Rating;10/10
মুভির বেস্ট পার্ট অনেকগুলা। যেকোন একটা প্রশংসা করা অসম্ভব,মুভির সবকিছুই ছিল প্রশংসনীয়। তবে সবথেকে প্রথমে প্রশংসা করবো এর মারাত্মক সুন্দর স্টোরিটেলিং এর। মুভির সবকিছু “Beginning To End” অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,এই কারণে মুভিটা ভালোভাবে দেখলে বিন্দুমাত্র কোনো কনফিউশান থাকবে না যে “এইটা কেন হলো বা এইটা কেন হলো না(এরকম আরকি)”। এই মুভির স্টোরিটেলিংকে আবার ৩ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে,যদিও ১ম ২ টা পার্ট একেবারেই ছোট,তবুও দরকারি। স্টোরিটেলিং বিভাগে কোনো অস্কার থাকলে চোখ বন্ধ করে এই মুভিটাই পেত । গল্পটা মূলত একবার মালিক & তার অধীনে কর্মরত কর্মচারীকে নিয়ে,তবে এর পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল। ডিরেক্টর ওয়েস এন্ডারসন অনেকগুলা থিম ব্যবহার করেছেন মুভিতে যেমনঃ লয়্যালটি,ট্র্যাজেডি,নস্টালজিয়া,ফ্যাসিবাদ,যুদ্ধ ইত্যাদি। তবে আমার কাছে লয়্যালটি/ প্রভুভক্তি সেরা লেগেছে। জিরো(কর্মচারী) যেভাবে তার প্রভু/বস গুস্তাভের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। যেভাবে চরম বিপদের মূহুর্তেও সে যেভাবে নিজের বসকে সাপোর্ট করে গিয়েছে,সেইটা সত্যিই বিরল। মুভিটার এন্ডিংটা একটু ভিন্ন ধাঁচের মনে হলো। ট্র্যাজেডি বলা যায়,তবুও কেমন যেন মনকে ভালো করে,অর্থাৎ নরমাল ট্র্যাজেডি মুভির মত মনকে বিষন্ন করবে না এই মুভিটা। এই একটা বিশেষত্ব মুভিটার। আর এজন্য ওয়েস এন্ডারসন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মুভির স্টোরিটা ছিল চমৎকার,আর স্টোরিটেলিং কেমন ছিল সেটা আগেই বলেছি।
এরপর কালার গ্রেডিং টা ছিল একটু ভিন্ন ধরণের।কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য করা হয়েছে। এরপর ভিন্ন ভিন্ন সময়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্ক্রিন রেশিও এর ব্যবহার টা ছিল বিষ্ময়কর একটা জিনিস,যারা দেখেছেন নিশ্চয়ই জানেন। সিনেমাটোগ্রাফিও ছিল মনোমুগ্ধকর,বেশ কয়েকটা শট চোখ ধাঁধানো ছিল। বিশেষ করে এন্ডিংয়ের আগের শট টা,এর সাথে আর্ট ডিরেকশন ও ছিল অনন্য লেভেলের। ন্যারেশন ছিল অনেক বড় একটা প্লাস পয়েন্ট,অর্থাৎ এক সিন থেকে অন্য সিনে খুব আগাচ্ছিলো মুভিটা। স্পিড এত-ই বেশি ছিল যে চোখ সরানোর কোনো চান্স ই পাওয়া যাবে না,তাই বিন্দুমাত্র বোর হওয়ার চান্স নেই। আর ছোট্ট এই মুভিতে ডায়ালগ ছিল অনেক,যে কারণে কিছু কিছু ডায়ালগ ক্যাচ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো আর ডায়ালগ ডেলিভারি ও অত্যন্ত দ্রুতগতির ছিল,হয়তো ইচ্ছা করেই করা হয়েছে এমনটা। এরপর মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বা আবহসংগীত ও ছিল মনোমুগ্ধকর,একেবারে ইউরোপিয়ান ফ্লেভার পেয়েছি। হেয়ারস্টাইল,মেকআপ বিভাগেও দুর্দান্ত মুভিটা। কস্টিউম ডিজাইন ও অসাধারণ ছিল। এরপর মুভির সকল অভিনেতা দুর্দান্ত করেছেন। বিশেষ করে মেইন অভিনেতা র্যালফ।। এককথায় ডিরেক্টর ওয়েস এন্ডারসন এমন একটা মুভি উপহার দিয়েছেন যেটা প্রায় প্রতিটা বিভাগে সেরা। একেবারে পরিপূর্ণ একটা মুভি।
সবশেষে একটা কথায় বলবো,এই মুভিটা পিওর মাখন একটা মুভি,পিওর মাস্টারপিস। শৈল্পিকভাবে হোক,কিংবা বিনোদনের দিক থেকে দুই দিক থেকেই সেরা মুভি।
সকল মুভি লাভারের জন্য ১০০% মাস্টওয়াচ। সাধারণত কথাটা বলিনি,তবে আজকে বলবো
“এই মুভিটা না দেখলে চরম মিস করবেন,একেবারে চরম মিস”