একটি ট্যাংক এর জীবনী, যা ৯৯% মানুষই জানে না। ট্যাংক কি বা কি তার কাজ।

একটি ট্যাংক এর আত্মকাহিনী
নাম ট্যাংক টি-৬২
#জন্মঃ-
১৯৬০ সালের প্রথম দিকে নরিনকো কম্পানিতে। এজন্য এর মেইন গানের ক্যলিভার ও আর্মারের পুরুত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
নামকরনঃ-
ট্যাংক টি -৬২ কে ১৯৫৮ সালের দিকে এর কাজে নামানোর কথা হলেও, সাময়িক সমস্যার কারনে এটিকে ১৯৬২ সালে নিজকর্মে প্রেরন করা হয় আর এ জন্যই এর নামকরন করা হয় ট্যাংক টি-৬২।
বাংলাদেশে প্রথম অবস্থানঃ-
যেহেতু এটি একটি ক্ষেপনঅস্ত্র তাই এটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনি আমদানি করে থাকে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৮৭ সালে চায়না থেকে সংগ্রগ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন,কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসে,সেনানিবাসে অবস্থিত তৎকালীন ৭ হর্স নামক একটি সঁাজোয়া ইউনিটে প্রথম আনা হয় টি -৬২ কে। 
হালকা গড়ন ও গঠনের কারনে ময়নামতি সেনানিবাস, কুমিল্লার পাহাড়ী এলাকার চলতে ফিরতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে করে বলে একে কুমিল্লা সেনানিবাসে প্রথম নিয়ে আসে। ৭ হর্সে থাকাকালীন সময়ে আনুমানিক  ১৫ বছর পর্ষন্ত নির্বিঘ্নে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল প্রকার রনকৌশলগত অনুশীলনে টি -৬২ সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে।
 
৭হর্সে থাকাকালীন সকল প্রকার রনকৌশল সহ সকল প্রোগ্রাম শেষ করে টি ৬২ কে নিয়ে আসা হল হাটহাজারী ফিল্ড ফায়ারিং রেন্জে। টি-৬২ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের তৎকালীন এডহক সাজোয়া স্কোয়াড্রনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ইতিহাসের পাতায় প্রথম নাম লেখায়।
 দীর্ঘ কর্মকান্ডের ইতি টেনে ২০০১ সালে অবসর যাপনের পর সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপে জমা দেয়া হয়।
২১ নভেম্বর ২০১৫ সালে,দীর্ঘ ১৪ বছর পর টি-৬২ কে সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আন্তরিকতায় সকলের মাঝে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ক্যফে ২৪ পার্কে(চট্টগ্রাম মিলিটারী একাডেমি থেকে ২০-৪০ কি.মি ভিতরে) আজীবনের জন্য কালের সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়।
লিখেছেনঃ মোঃ সাহারিয়া মজুমদার সাব্বির

About regulartechbd

Check Also

স্পেসওয়াক নিয়ে যত কথা

স্পেসওয়াক নিয়ে যত কথা

স্পেসওয়াক নিয়ে যত কথা   স্পেস শব্দের অর্থ মহাকাশ, আর ওয়াক মানে চলাচল। মহাকাশে থাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *